Wednesday, November 21, 2018

বিজ্ঞানের রহস্যময় টপিক টাইম ট্রাভেল।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভাল আছেন।টাইম ট্র্যভেল নিয়ে অনেকেই তো কত সাইন্স ফিকশনের বই পড়েছেন, মুভি দেখেছেন। কিন্তু ওগুলো যেভাবে দেখায় আসলে তেমন প্রযুক্তি আমাদের হাতে এখন নেই যে একটা ইলেক্ট্রিক ওয়েবের ভেতর ঢুকে গেলেন আর অতিত বা ভবিষ্যতে পৌঁছে গেলেন! আর সেগুলো শুধু ফিকশনই!
কিন্তু বাস্তবিক ভাবেই যদি আজ আপনাদের টাইম ট্র্যাভেল নিয়ে বলি তো কেমন হবে? বাস্তবিক মানে থিয়োরি মোতাবেক বাস্তবিক! এবং সেই থিওরি মত প্রযুক্তি আর যানবাহন হলেই টাইম ট্র্যাভেল সম্ভব! তবে অতিতে নয়, একতরফা ভবিষ্যতের দিকে শুধু। ফেরার কোনো উপায় নেই সেখান থেকে।


      অতি কাল্পনিক কিছু না অবশ্যই! অলিক কোনো বস্তুও না! স্টিফেন হকিং আর জাফর ইকবালের ভাষ্যমতে আজ আপনাদের সম্পুর্ন বাস্তবিক দুইটা আইডিয়া নিয়েই বলবো যেগুলো প্রয়োগ করতে পারলে আসলেই একতরফা ভবিষ্যতের দিকে টাইম ট্র্যাভেল করা সম্ভব! অন্তত আমার কাছে অবশ্যই এগুলো লজিক্যাল মনে হয়!
স্টিফেন হকিং এর মতে সময় এক এক যায়গায় এক এক গতিতে চলে। নদীর স্রোতের মতোই। স্থান আর পাত্র ভেদে সময়ের গতি আলাদা হয়। একটা উচু ঢালু পাহাড়ি নদীর স্রোত আর সাধারন একটা নদীর স্রোত অবশ্যই আলাদা। তাদের গতি আলাদা। তেমন সময়ও স্থান ভেদে আলাদা গতিতে চলে।
একটা বিশাল ভারি বস্তুর কাছে সময় আসতে চলে। সময়ের গতি ওই বস্তুর ভর আর অভিকর্ষের জন্য স্লো হয়ে যায়। বাস্তব চোখে আমাদের কাছে এটা ধর না পড়লেও সেকেন্ডের লক্ষ ভাগ হলেও ধীরে চলে। অভিকর্ষ বল সময়ের গতিতে প্রভাব ফেলে।
একটা বাস্তব উদাহরন হলো আমাদের পৃথিবী আর পৃথিবীর হাজার হাজার মাইল উপরে ঘুরতে থাকা স্যাটেলাইট গুলার এটমিক ঘড়ি।
পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে অনেক দূরে থাকাতে সেখানে পৃথিবীর অভিকর্ষ বল পৃথিবী পৃষ্ঠের পরে থাকা বস্তুর চেয়ে কম। তাই সেই স্যাটেলাইটগুলোর যে ক্লক থাকে সেই ক্লক গুলো পৃথিবীতে থাকা ক্লকের চেয়ে দ্রুত গতিতে চলে। এই পার্থক্য এতই সামান্য যে এটাকে সেকেন্ডের হাজার হাজার ভাগের সমান ধরা হয়ে থাকে। এবং প্রতিনিয়ত বিজ্ঞানীদের সেই ক্লক গুলোর টাইমের এই হেরফের কারেকশন করতে হয় পৃথিবীর ক্লকের সাথে সমান গতিতে রাখতে। নাহলে জটিল হিসাব নিকাশে আর স্যাটেলাইট সিগনালের মারাত্বক গোলযোগ ঘটে যাবে।
সুতরাং পৃথিবীতে থাকা নরমাল সময়ের চেয়ে মহাকাশের ওই স্যাটেলাইট গুলোর সময় দ্রুত চলে পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের হেরফেরের কারনে।
কিন্তু আমাদের পৃথিবীর এই সামান্য অভিকর্ষ বল ব্যবহার করে প্র্যাক্টিক্যালি টাইম ট্র্যাভেল হবেনা। এর জন্য আমাদের দরকার অতিকায় ভর আর অভিকর্ষ বিশিষ্ট কোনো বস্তু যার অসীম গ্র্যাভিটির কারনে সময় স্লো হবে চোখে পড়ার মত!

হ্যা! আপনি ঠিকই ভেবেছেন! একটা ব্ল্যাক হোল! ব্ল্যাক হোলের পৃথিবীর চেয়ে কোটি কোটি গুন বেশি ভর আর গ্র্যাভিটি আছে যা ব্যবহার করে বাস্তবিক ভাবেই টাইম ট্র্যাভেল সম্ভব!
কল্পনা করুন একটা স্পেসশিপে কয়েকজন মানুষ একটা ব্ল্যাকহোলের নিকটে যেয়ে তার চারপাশে চক্রাকারে ঘুরতে থাকলো। নিচের চিত্রের মত-

তখন চমৎকার এক ঘটনা ঘটবে! ব্ল্যাকহোলের অসীম গ্র্যাভিটির টানে স্পেশিপের ভেতরে থাকা যাত্রীদের সময় স্লো হয়ে যাবে। বাইরের দুনিয়ার তুলনায় তাদের সময় ধীরে চলবে। অতি ধীরে! এভাবে কল্পনা করুন স্পেসশিপের ভেতরের মানুষদের মনে হচ্ছে তারা ১ সপ্তাহ ধরে তারা ব্ল্যাকহোলের পাশে ঘুরছে। কিন্তু স্বাভাবিক আমাদের পৃথিবীর সময়ে তারা মুলত কয়েক বছর ধরে ঘুরছে। অর্থাৎ স্পেসশিপের ১ সপ্তাহ সময় আমাদের পৃথিবীর কয়েক বছরের মত হবে! কারন অসীম গ্র্যাভিটির টানে স্পেসশিপের ভেতরের সময় স্লো হয়ে গিয়েছে।
ওই ব্ল্যাক হোলের গ্র্যাভিটেশনাল ফোর্সের বাইরে থেকে আমরা দেখলে মনে হবে স্পেসশিপটা অতি ধীরে ধীরে চক্রাকারে তার চারপাশে ঘুরছে। কিন্তু শিপের ভেতরের মানুষ বাইরের দুনিয়া দেখলে মনে হবে বাইরের সব কিছু অতি দ্রুত চলছে!
এভাবে স্পেসশিপটা কয়েক সপ্তাহ ঘোরার পর তারা যখন পৃথিবীতে ফিরে আসবে তারা তখন ফিরবে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে! কয়েক সপ্তাহে তারা কয়েক শত বছর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে! ধরুন তারা ২০১০ সালে পৃথিবী থেকে চলে গেলো আর ১০০ বছর পর আবার ফিরে এলো। কিন্তু তাদের বয়স বাড়বে মাত্র কয়েক সপ্তাহ! আর সেই সময়ে পৃথিবী ১০০ বছর পার করে দিয়েছে।!
এভাবে গ্র্যাভিটিকে কাজে লাগিয়ে একতরফা ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব যদি তেমন যানবাহন আর প্রযুক্তি নিয়ে আমরা একটা ব্ল্যাকহোলকে ব্যবহার করতে পারি!
সেকেন্ড আরেকটা উপায় হলো গতি! আমাদের অতি দ্রুত কোনো যানবাহনে ছুটতে হবে! অতি দ্রুত! প্রায় আলোর গতিতে!
অবাস্তব লাগলে এটার আগে আরেকটা জিনিষ দেখুন।
নিচের চিত্রটা দেখুন। মনে করুন একটা ট্রেনের ভেতর বসে আছেন। ট্রেনটা স্টেশনে থেমে আছে। আপনি হাতে একটা লেজার লাইট নিয়ে ৯০ ডিগ্রি এঙ্গেলে এটা ট্রেনের ছাদের দিকে তাক করে ধরে আছেন। লাইন AB বরাবর। আপনার হাতের লাইট হল A, আর ট্রেনের ছাদ হলো B.
A থেকে B এর দুরত্ত ধরুন ৩ মিটার।

কোনো চলন্ত বাহনে, যখন তা সামনের দিকে ছুটে চলে, আপনি পেছন দিকে একটা টান অনুভব করবেন। এটা হয়ত বোঝানো লাগবেনা। একটা ট্রেন যখন সুপার স্পীডে চলে তখন ট্রেনের ভেতরে থাকা যাত্রীদের পেছন দিকে একটা টান থাকে। গতির কারনে এটা হয়ে থাকে।
ঠিক এমন কারনেই কল্পনা করুন আপনার ট্রেনটা অতি অতি দ্রুত বেগে চলছে। যার কারনে সম্মুখ গতির কারনে আপনার হাতে থাকে লেজার লাইটের আলো টা সোজা ৯০ ডিগ্রিতে না যেয়ে সামান্য পেছনে বেকে যাবে। AC লাইন বরাবর। অবশ্যই AB থেকে AC এর দৈর্ঘ বেশি হবে। যদি হাতের লাইট থেকে আলো ছাদে পৌছানোর সময়টাকে একটা পালস ধরি, তবে AC লাইনে পালস কমপ্লিট করতে AB এর চেয়ে সময় বেশি লাগবে। অর্থাৎ স্থির অবস্থায় ট্রেন যখন স্টেশনে ছিলো তখন এক পালসের জন্য লাইটকে এবি লাইনে ৩ মিটার পার করতে হবে। আর চলন্ত অবস্থায় গতির কারনে লাইট বিম সামন্য পেছনে হেলে যাওয়াতে এসি লাইন বরাবর এক পালসে ধরুন ৩.৫ মিটার যেতে হচ্ছে। অর্থাৎ চলন্ত ট্রেনে এক পালস কমপ্লিট করতে স্থির ট্রেনের চেয়ে সময় বেশি লাগার কথা। সামন্য হলেও, অতি সামান্য হলেও বেশি লাগবে। কারন এসি লাইনের দৈর্ঘ্য বেশি।
সুতরাং কি দাড়ালো? স্থির ট্রেনের তুলনায় চলন্ত ট্রেনের ভেতর আলোর পালস কমপ্লিট করতে সময় বেশি লাগছে। অর্থাৎ সময় স্লো হয়ে গিয়েছে!
যদি আমরা অতি অতি দ্রুতবেগ সম্পন্ন কোনো যানবাহন বানাতে পারি, যেটা আলোর সমান না হলেও, ধরে নিন যে আলোর গতির ৯৯% সমান গতিতে ছুটতে পারে! তাহলে সেই যানবাহনের ভেতর সময় উপরের নিয়মের কারনে স্লো চলবে!
ধরে নিন একটা রকেট বানানো হলো, যেটা আলোর ৯৯% গতিতে ছুটতে পারবে মহাকাশে, তখন ওই গতির কারনে রকেটের ভেতরের সময় পৃথিবীর তুলনায় স্লো চলবে!

আলোর গতি যদি ছুতে পারি তবে সময় স্থীর হয়ে যাবে! আর যদি আলোর গতি পার করতে পারে তবে সময় উলটো চলবে!
অতোদুর না যাই আমরা! আলোর গতি ছোয়া বাস্তবিকে সম্ভব না!
তবে এই আলোর গতির কাছাকাছি চলার মতো প্রযুক্তি অলরেডি গবেষণার ভেতর রয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনাভায় মাটির নিচে ২৭ কিমি লম্বা একটা চক্রাকার টানেলের ভেতর প্রোটন পার্টিকেল আলোর কাছাকাছি গতিতে চালনা করা হয়। এই প্রোটন কনা গুলো অতি সামান্য সময় স্থায়ী হয়। সেকেন্ডের ভগ্নাংশের সমান সময়। অতি ক্ষনস্থায়ী। কিন্তু আলোর কাছাকাছি গতিতে ছুটার কারনে সেগুলোর জীবন কাল ৩০% বেড়ে যায়। অর্থাৎ বাস্তবিক ওই কনা গুলো টাইম ট্র্যাভেলার!


Thursday, November 8, 2018

বাংলাদেশে ‘অ্যাড ব্রেকস’ চালু করলো ফেসবুক , এবার আয় হয় ফেইসবুকে ভিডিও আপলোডের মাধ্যমে


বাংলাদেশে ‘অ্যাড ব্রেকস’ সুবিধা চালু করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।
বুধবার (৭ নভেম্বর) থেকে ব্যবহারকরীরা ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিওতে বাংলা ও ইংরেজি উভয়ই ভাষায় এই সুবিধা পাবেন। যোগ্য প্রকাশক ও নির্মাতারা এখন অ্যাড ব্রেকস সুবিধার মাধ্যমে ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ সময়ের ভিডিওগুলোথেকে আয় করতে পারবেন ও পেজের ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন। ফেসবুক থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় এই সুবিধা চালুর উদ্যোগ হিসেবে ফেসবুক বাংলাদেশেও এই সেবা সম্প্রসারণ করলো।

https://www.facebook.com/business/m/join-ad-breaks

এই লিংকে গেলেই বুঝতে পারবেন আপনার কোন পেইজে আপনি অ্যাড ব্রেকস পেতে পারবেন । অ্যাড ব্রেকস সম্পূর্ণভাবে পাওয়ার কিছু শর্ত আছে ।

 ১। আপনার পেইজে সর্বনিন্ম ১০ হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে ।

২। ৬০ দিনের মধ্যে  সর্বনিন্ম ৩ মিনিটের ভিডিওতে আপনাকে ৩০ হাজার মিনিট  watch time আনতে হবে ।

৩। Monetization Eligibility Standards এপ্রুভড থাকতে হবে । আপনার পেইজে যদি এর আগে কোন কারণে Monetization অফ হয়ে যায় তাহলে সে পেইজে পাবেন না 






আমার এই পেইজটির স্কিন শর্ট দেখুন । আমার ৩ টা স্টেপ এপ্রুভড আছে । এখন শুধু যদি আমি ৩০ হাজার মিনিট Watch Time আনতে পারি তাহলে আমার এই পেইজের ভিডিওতে আমি অ্যাড ব্রেকস পেয়ে যাবো আপনারাও আপনাদের পেইজ গুলা চ্যাক করতে পারেন যে কোন পেইজে আপনার অ্যাড ব্রেকস পেতে পারেন ।

কোন সমস্যা হলে আমাদের প্রযুক্তি কথন গ্রুপে শেয়ার করবেন । আমরা সেখান থেকে সমাধান দেওয়ার চেস্টা করবো

Saturday, November 3, 2018

সংলাপের প্রাপ্তি নিয়ে যা বললেন !
ড. কামাল হোসেনের ভাষায়, ‘আলোচনা ভালো হয়েছে’ এবং মির্জা ফখরুল ইসলামের ‘আলোচনায় সন্তুষ্ট নই’—মন্তব্য দুটির ভেতরে একটা পার্থক্যের সুর থাকলেও সংলাপ ব্যর্থ হয়েছে এমন কথা কোনো পক্ষেরই কেউ বলেননি। বরং ক্ষমতাসীন দলের নেতা ওবায়দুল কাদেরের কথায় ইঙ্গিত মেলে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা শেষ হয়নি। তিনি বলেছেন, আর আলোচনা হবে কি না, তা ৮ নভেম্বরের পর বলা যাবে। এসব বক্তব্যে ইঙ্গিত মেলে, উভয় পক্ষই সংলাপ অব্যাহত রাখার আশা জিইয়ে রাখতে আগ্রহী।


রাজনৈতিক বিভাজনের দুই প্রান্তে থাকা দুটি জোটের মধ্যে প্রায় সব বিষয়েই অবস্থান যখন বিপরীতমুখী, তখন সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে সমঝোতা বা সংকট নিরসনের আশা যাঁরা করেছিলেন, তাঁরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হতেই পারেন। কিন্তু, সেই ক্ষোভ ও হতাশা আবেগতাড়িত, বাস্তবসম্মত নয়। ‘সব সময় কি সব হয় নাকি’—মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যেই তার স্বীকারোক্তি রয়েছে। বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগের তাড়না থাকাটা খুবই স্বাভাবিক। কেননা, তাঁদের দলীয় প্রধান জেলে এবং সংলাপের আমন্ত্রণের পর একটি মামলায় তাঁর সাজা দ্বিগুণ হয়েছে; আরেকটি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড, আচমকা দলের গঠনতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করতে নির্বাচন কমিশনের ওপর হাইকোর্টের আদেশ জারি এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় অব্যাহত থাকার ঘটনাগুলোতে সরকারের কঠোর মনোভাব বজায় থাকারই প্রতিফলন ঘটেছে। যদিও, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে শুভেচ্ছার নমুনা হিসেবে উদারতার প্রত্যাশাই স্বাভাবিক।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, সংলাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হচ্ছে, তাঁরা সংবিধানের মধ্যেই কীভাবে সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব, তার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন। আদালতের রায়ে আরও দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার যে সুযোগ রাখা হয়েছিল, সেটি এখনো কাজে লাগানোর অবকাশ আছে, এ কথাটিও তাঁরা বলেছেন। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবকে ভিত্তি করে আলোচনার কথাও এসেছে। রাজনৈতিক সংকট সমাধানে রাজি হলে প্রয়োজনে সংবিধানসম্মত অন্য আরও বিকল্প তাঁরা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে সংবিধানের বাইরে কিছু সম্ভব নয় বলা হলেও সংবিধানসম্মত বিকল্প নিয়ে আলোচনার কথা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হয়নি। সেদিক দিয়ে সংলাপকে ব্যর্থ বা এর ফলাফল শূন্য বলা অযৌক্তিক।
সভা-সমাবেশ করার ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকবে না বলে যে আশ্বাস প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, সেটিকে কাজে লাগাতে পারাও এখন ঐক্যফ্রন্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এর মধ্য দিয়ে তারা সাংগঠনিকভাবে নিজেদের গোছানোর এবং দ্বিতীয়ত, তাদের দাবির সপক্ষে জনসমর্থনের প্রকাশ ঘটানোরও সুযোগ পাচ্ছে। ফলে, তারা যদি এখন মাঠের কর্মসূচিতে মনোযোগী হয়, তাহলে তাতে সরকারের ওপর চাপ বাড়বে। অন্যদিকে, সভা-সমাবেশে বাধা পেলে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন হবে। সরকারের পক্ষ থেকে গায়েবি মামলার তালিকা চাওয়ার বিষয়টিকেও ঐক্যফ্রন্ট কাজে লাগাতে পারে।
সংলাপে বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন বা তাঁর মুক্তির বিষয়ে সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার আশা আলোচনায় অংশগ্রহণকারীদের কেউ করে থাকলে বলতেই হবে যে রাজনীতিতে তাঁর প্রাথমিক পাঠ গ্রহণ এখনো বাকি আছে। ‘মামলার বিষয়গুলো আদালতের এখতিয়ার’ এই উত্তরই তো প্রত্যাশিত। তবে, আপিল প্রক্রিয়ায় সরকার যে ভূমিকা নিয়েছে, ভবিষ্যতে যদি তা থেকে বিরত থাকে, তাহলে আইনি প্রক্রিয়ায় তাঁর জামিন পাওয়া একেবারে অসম্ভব কিছু নয়। সংলাপে যদি মূল রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে অগ্রগতি হয়, তাহলে তার প্রভাবে ভিন্ন কিছু হওয়া একেবারে অসম্ভব এমনটি বলা যায় না।
তবে, সংলাপ ঘিরে সরকারের অনুসৃত কৌশল যে অনেক নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে, সে কথাও অস্বীকারের উপায় নেই। প্রথমত, সংলাপের পরিসর বাড়াতে সরকারের অতি আগ্রহ এবং দ্বিতীয়ত, সংকটের কেন্দ্র থেকে জন–আলোচনাকে ভিন্নদিকে সরানোর চেষ্টায় তা স্পষ্ট। নিতান্তই ঠুনকো বিষয়গুলোতে নানা ধরনের মুখরোচক আলোচনায় সেই আলামতই মেলে। গণভবনের নৈশভোজের খাদ্যতালিকায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের পছন্দের খাবার অন্তর্ভুক্ত হওয়া কিংবা ফ্রন্টের নেতাদের ভোজনপর্ব বর্জনের ঘোষণা এবং সংলাপ চলাকালেই বিএনপি নেতাদের ফলের রস পান এবং বাদাম চিবোনোর ছবি প্রকাশের বিষয়গুলো কাকতালীয় মনে করা কঠিন। কারও কারও কাছে তাই আলোচনায় কে কী বলেছেন, তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কে কী খেয়েছেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি এবং সাবেক আওয়ামী লীগ হিসেবে একটা বিভাজন তুলে ধরার চেষ্টাও এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয়।
সংলাপের মূল বিষয়, একটা গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার। সেই আলোচনায় সরকারের অংশীদার জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের প্রয়োজন হবে কেন, তার কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা নেই। জাতীয় পার্টির তো এ ধরনের কোনো দাবি নেই। মনে হচ্ছে নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক করার ব্যবস্থার চাইতে সংলাপকে অংশগ্রহণমূলক দেখানোটাই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য। সবার মতামতের ভিত্তিতে একটা জাতীয় সমঝোতা গড়ে তোলা যদি সরকারের লক্ষ্য হতো, তাহলে তো একটা সর্বদলীয় কনভেনশনই ছিল উত্তম ব্যবস্থা। বামপন্থীদের জোট কিংবা বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারার আলোচনার অনুরোধও যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এসেছে তা নয়। সরকার ড. কামালের অনুরোধে সাড়া দিয়েছে জানার পরই বিকল্পধারা তাঁকে অনুসরণ করে। আর, বামপন্থীদের কাছে তো সরকারই অনুরোধপত্র চেয়েছিল। এখন বলা হচ্ছে, সংলাপের জন্য সরকারের কাছে ২০টির মতো অনুরোধ এসেছে। ফলে, আশঙ্কা হয় যে সংলাপ না শেষ পর্যন্ত একটা লোকদেখানো নাটকে পরিণত হয়।
ঐক্যফ্রন্টের অগ্রাধিকার হচ্ছে সাত দফায়। কিন্তু, সরকারের তা নয়। তার প্রয়োজন এমন একটা নির্বাচন, যেটি যেন ২০১৪–এর পুনরাবৃত্তি না হয় এবং ক্ষমতাও যাতে হারাতে না হয়। সুতরাং, আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় যদি জন-আলোচনায় প্রাধান্য পায়, তাহলে সরকারেরই তাতে সুবিধা। সরকার সেখানে সদ্য গড়ে ওঠা জোটে ভিন্নমত উসকে দেওয়ার সুযোগ খুঁজবে, সেটাই স্বাভাবিক। সংলাপের আলোচনায় যেসব বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে, তাতে সরকারের শরিক দলগুলোর নেতাদের বক্তব্যে সেই চেষ্টার প্রতিফলন দেখা যায়।
আমরা জানি, উদারপন্থী গণতন্ত্রী হিসেবে ড. কামালের রাজনৈতিক আদর্শগত অবস্থান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে একেবারেই স্বতন্ত্র। মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্যও অনেকটা সেই পথেরই পথিক। ফ্রন্টের প্রধান দল বিএনপির ডানপন্থী রাজনীতির সঙ্গে তাদের সমঝোতা একেবারেই ইস্যুভিত্তিক ও সাময়িক। জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক যে এই বৃহত্তর ঐক্যফ্রন্টেও অদৃশ্য অস্বস্তির কারণ হয়ে আছে, তা অস্বীকারের উপায় নেই। জামায়াতের বিষয়ে অতীতে নীরবতা অবলম্বনকারী বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিকল্পধারার এই ইস্যুতে ঐক্যপ্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়ানো সেই সাক্ষ্যই দেয়। সংলাপের পরিসর বিস্তৃত হওয়ার প্রক্রিয়ায় বিষয়টি আবারও বড় হয়ে উঠতে পারে।
রাজনৈতিক অবস্থান ও আদর্শের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের মধ্যে দূরত্ব অনেক। গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে ন্যূনতম কর্মসূচিতে তাদের যে সমঝোতা এখনো পাকাপোক্ত রূপ নিয়েছে, এমনটি বলা যাবে না। সংলাপের প্রক্রিয়ায় তাদের এই দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর সম্ভাবনায় সরকার–সমর্থকদের অনেকেই কিছুটা উচ্ছ্বসিত। এ ধরনের কৌশল সফল হলে ক্ষমতাসীনেরা সাময়িকভাবে লাভবান হলেও রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে তার পরিণতি কারও জন্যই সুখকর হবে না। ১৯৯৬, ২০০৬ ও ২০১৩–এর সংলাপগুলোর তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি কেউই প্রত্যাশা করে না। সংলাপে আরও সংলাপের পথ প্রশস্ত হওয়ার একটা অগ্রগতি হলেও সংলাপ যতক্ষণ অর্থবহ পরিণতি লাভ না করছে, ততক্ষণ কোনো আশ্বাসেই মানুষের আস্থা অর্জন সম্ভব হবে না। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের আশ্বাসে কোনো কোনো রাজনৈতিক দলকে প্রলুব্ধ করা গেলেও নির্বাচনব্যবস্থায় মানুষ যে আস্থা হারিয়েছে, তা ফেরানো সম্ভব হবে না।

Friday, November 2, 2018

বিনামূল্যে তৈরি করুন আপনার প্রতিষ্ঠানের ফোরাম


     আপাতদৃষ্টিতে ব্লগ এবং ফোরামকে এক মনে হলেও এ দুয়ের মধ্যে রয়েছে কিছু মৌলিক পার্থক্য। যেমন, ব্লগ মূলত একজন মানুষের মুক্তকণ্ঠে কথা বলার একটি উন্মুক্ত স্থান। এখানে একজন ব্লগার তার নিজের ইচ্ছেমতো যেকোন বিষয়ে লিখতে পারে। এখানে সে লিখতে পারে তার দেশভাবনা, তার চিন্তাধারা, তার মুক্তমনের কথা, কিংবা শুধুই নিজের জীবনী। এখানে তার ব্লগের ভিজিটররা তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারেন। এই মতামত ইচ্ছে করলে সংশ্লিস্ট ব্লগার মুছেও ফেলতে পারেন, রাখতেও পারেন। এটা পুরোপুরিই নির্ভর করে ঐ ব্লগারের স্বাধীন ইচ্ছার উপর। অন্যদিকে একটি ফোরাম হচ্ছে একটি আলোচনা বোর্ডের মত। এখানে নির্দিষ্ট কিছু বিভাগ থাকবে যেখানে আপনি সংশ্লিস্ট যেকোন বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন। এটি একটি উন্মুক্ত বিতর্ককেন্দ্র বলা যেতে পারে। এখানে থাকতে পারে হাজারো মানুষের হাজারো মন্তব্য। এছাড়া ফোরামে উত্থাপিত প্রত্যেকটি বিষয়ের একটি থ্রেড থেকে যায়। অর্থাৎ, একটি ফোরামকে তুলনা করা যেতে পারে একটি বিতর্কভিত্তিক সাইট হিসেবে যেখানে একটি ব্লগকে তুলনা করা যেতে পারে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক জার্নাল, চিন্তাধারা, সংবাদ কিংবা স্রেফ জার্নাল।

ব্লগ এখন অতি সহজলভ্য একটি জিনিস। আপনি চাইলে দু'তিনটি ক্লিকের মাধ্যমেই একটি ব্লগ করে তুলতে পারেন ওয়ার্ডপ্রেস কিংবা এজাতীয় ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্মে। কিন্তু আপনি কি জানেন কোনরকম টেকনিক্যাল নলেজ ছাড়াই আপনি পুরো একটি ফোরামও গঠন করে ফেলতে পারেন?

হ্যাঁ, লিফোরা নিয়ে এসেছে আপনার জন্য সেই সুবিধা। লিফোরাতে আপনি চাইলে বিনামূল্যে সেট-আপ করে নিতে পারবেন একটি নিজস্ব ফোরাম। লিফোরা ফোরামের রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু টেমপ্লেট, সহজ কাস্টোমাইজেশন, অডিও ভিডিও ইত্যাদি মিডিয়া সাপোর্ট, আরএসএস ফিড সুবিধা, মডারেশনের সুবিধা, স্প্যাম ব্লকিং টেকনোলজি, লেখার জন্য WYSIWYG এডিটরসহ আরো বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফিচার। আপনি লিফোরা ফোরামে ফোরাম হোস্ট করলে আপনার ফোরামের সদস্যদের আপনি সহজেই নিউজলেটার বা ইমেইল পাঠাতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে ব্যবহারবান্ধব অ্যাডমিন প্যানেল যা আপনাকে বুঝতেই দেবে না যে আপনি কত জটিল কোডের কাজ অনায়াসে বিনা পরিশ্রমে করে যাচ্ছেন।
এখানে ক্লিক করে আপনি লিফোরায় রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন। রেজিষ্ট্রেশনের সহজ কয়েকটি ধাপ পেরিয়েই আপনি পেয়ে যাবেন আপনার ফোরাম তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় টুলস যেমন টেমপ্লেট, কাস্টোমাইজেশন টুল, বন্ধুদেরকে আমন্ত্রণ করার টুল ইত্যাদি ইত্যাদি।
লক্ষ্যণীয়ঃ ফোরাম মূলত তৈরি করা হয়ে থাকে একটি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের একত্র করা ও তাদেরকে আলোচনায় অংশ নেয়ার সাহায্যার্থে। ব্যক্তিগত কাজে (যেমন ব্লগের বিকল্প হিসেবে) ফোরাম হোস্ট করা বোকামী। কারণ ফোরাম তৈরিই হয় এর সদস্যদেরকে লেখা টিউন করার সুবিধার্থে। সুতরাং আপনার ছোটখাট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের একত্র করতে আপনি একটি ফোরাম ডেভেলপ করতে পারেন। আর যদি কোডিংয়ের জটিলতায় যেতে না চান, তাহলে লিফোরা তো আছেই।
প্রধানমন্ত্রীকে যা বলেছেন ড. কামাল
সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে যথাযথভাবে আশ্বস্ত করলে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশন শক্তিশালীকরণে সংবিধানসম্মত একাধিক নির্দিষ্ট প্রস্তাব দ্রুততম সময়ে পেশ করা হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছিলেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৪ দলের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতীয় ঐক্য ও জাতীয় মেলবন্ধনে (রিকনসিলিয়েশন) ভূমিকা রাখারও আহ্বান জানিয়েছিলেন ড. কামাল হোসেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, দেশ পরিচালনার যে ঐতিহাসিক সুযোগ আপনি পেয়েছেন, সেখানে জাতীয় ঐক্য এবং রিকনসিলিয়েশন বা মেলবন্ধনে কতটা কার্যকর ভূমিকা আপনি রেখে যতে পারছেন, আগামী দিনের মানুষ যুগ যুগ ধরে সেটাই মনে রাখবে। 



অবশ্য সংলাপ শেষে গতকাল সাংবাদিকদের ড. কামাল বলেছেন, সংলাপে বিশেষ কোনো সমাধান তারা পাননি। আর ঐক্যফ্রন্টের শরিকে বিএনপি বলছে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। পরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেয় ঐক্যফ্রন্ট। নতুন করে আর আলোচনার দরকার আছে কি না বা সংলাপে কী পেলেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটি আছে। সেখানে আলোচনা হবে। এরপর শীর্ষ নেতারা বসে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গতকালের সংলাপে ড. কামাল বলেন, ‘জীবন সায়াহ্নে বঙ্গবন্ধুর একজন ক্ষুদ্র অনুসারী হিসেবে, আমি বিশ্বাস করি, জাতীয় মেলবন্ধনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আনা সম্ভব হলে তার ইতিবাচক প্রভাব জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ সবকিছুর ওপরই পড়বে। বাংলাদেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে আপনি একটি সফল সংলাপের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারেন। আর সেটা সম্ভব হলে আপনার এই উদারনৈতিক অবদানটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড়মাপের নেতাদের মতো আপনাকে অমর করে রাখবে। এই লক্ষ্য অর্জনে আপনি সম্ভব সব ধরনের পদক্ষেপ নিন। জাতির ইতিহাসে আপনার নাম সেনার হরফে লেখা থাকবে।’
সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল বলেন, প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, সংবিধানের এই ঘোষণার সঙ্গে বাক, ব্যক্তি, সংবাদপত্র ও সমাবেশের স্বাধীনতা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ধারণা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করাই হলো জনগণের মালিকানা নিশ্চিত হওয়া। তবে আমরা অত্যন্ত উৎকণ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, গায়েবি ও হয়রানিমূলক হাজার হাজার মামলা দায়ের, নির্যাতন, বিচারবহির্ভূত প্রাণনাশ এবং অন্যান্য বহুবিধ অন্যায় ও অবিচার ঘটে চলছে। এসব অনতিবিলম্বে বন্ধ করার ব্যাপারে সরকারের আশু ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কারণ অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এটা অন্যতম ও অবিচ্ছেদ্য পূর্বশর্ত। 

গণফোরামের সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রকে বলা হয় আর্ট অব কম্প্রোমাইজ। বাংলাদেশের বিরোধপূর্ণ রাজনৈতিক ইতিহাসে সংলাপ আনুষ্ঠানিকভাবে সফল না হলেও বিভিন্ন সময়ে জাতীয় স্বার্থে সমঝোতা বা একটা আপসমূলক অবস্থায় পৌঁছানোর নজির আমাদের আছে। বিএনপি পোড়াতে না চাইলেও আপনার নেতৃত্বাধীন জনপ্রিয় আন্দোলনের মুখে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার সংবিধানে যুক্ত করেছিল। নির্বাচনকেন্দ্রিক দাবিদাওয়া আদায়ের সংগ্রামে ২০০৫ সালের ২২ নভেম্বরে পল্টনের ঐতিহাসিক মহাসমাবেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ১১ দল, জাসদ, ন্যাপ নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারের যে লিখিত রূপরেখা দিয়েছিল, তার মধ্যকার কিছু মৌলিক বিষয় আজও প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে।
সংলাপে ড. কামাল বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) সংবিধানসম্মত সমাধানে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু এটাও আপনার অজানা নয় যে, কোনো বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের দরকার পড়লে তা নিয়ে আলোচনা করাও সংবিধানসম্মত। কারণ সংবিধান সংশোধনের বিধান সংবিধানেরই অংশ। তবে বিরাজমান পরিস্থিতিতে সংকট থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধানসম্মত একাধিক পথ খোলা আছে বলে আমরা মনে করি। আমরা আমাদের সাত দফার পাশাপাশি ১৩ তম সংশোধনী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের আলোকে বিশেষ করে দশম ও একাদশ নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে করা, নির্বাচনের ৪২ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিয়ে একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠনসহ বিভিন্ন নির্দেশনা, ২০১৩ সালে বিরোধী দলকে নির্বাচনী মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রদানে আপনার প্রস্তাবের প্রতি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই।
ড. কামাল বলেন, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদের খ উপ দফায় সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে। সুতরাং সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করা সংবিধানসম্মত এবং তা ওয়েস্টমিনস্টার মডেলের সংসদীয় রীতি মেনে চলা বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের অনুশীলনের সঙ্গেও সংগতিপূর্ণ। বাংলাদেশেও ২০১৪ সালের নির্বাচনটি ব্যতিরেকে এর আগের নয়টি সংসদ নির্বাচন সংসদ ভেঙে দেওয়া অবস্থায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৩ সালে গণপরিষদ ভেঙে দিয়েই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়।
বঙ্গবন্ধু সরকারের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোট দেওয়ার পরিবেশ চায়, অবাধে ভোট দিতে চায়। আজ যুব দিবস। তাই বিশেষভাবে আমাদের এটা মনে রাখতে হবে যে, ইতিমধ্যে মোট ভোটারের অধিকাংশ যুবক। গত এক দশকেই সোয়া দুই কোটি নতুন ভোটার হয়েছে। আমরা তাদের হতাশ করতে চাই না।
ব্লগস্পট সাইটে ফ্রী কাস্টম ডোমেইন যোগ করা


   এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে Godaddy,  Namesilo, Namecheap, 1and1 সহ অন্যান্য যেকোন সাইট থেকে ডোমেইন কিনে ব্লগস্পটে লাগাতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার সাইটের নাম something.blogspot.com এর বদলে something.com হবে।


এছাড়া freenom থেকে ফ্রী কোন ডোমেইন যেমনঃ.tk, .ga ইত্যাদিও লাগাতে পারবেন। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন-
1. blogger এর ড্যাশবোর্ড এ যান
2. এরপর সেখান থেকে 'Setting' এ যান। খুঁজে পাবেন নিচের দিকে। এরপর setting এ গিয়ে 'basic' নামে একটা অপশন দেখতে পাবেন প্রথমেই। সেখানে প্রবেশ করুন।
3. "Blog address" এর পাশে  'edit' লেখা দেখতে পাচ্ছেন নিশ্চয়ই। এটার উপর ক্লিক করুন।
4. এরপর  'third party domain' এ যান।
5. এবার ডোমেইনের নাম লিখুন।  write your registered domain

ডোমেইন নেম সার্ভার বা, DNS ঠিক করতে হবে
6. কাজ শেষ না, এখন আপনাকে ওরা সাজেস্ট করছে দুইটা জিনিস দেয়ার জন্য। এই দুইটা হচ্ছে Host/Cname.  একটা Name- www এর জন্য ghs.google.com এবং আরেকটা  vsdvdvdvdv(যেকোন কিছু হতে পারে) এর জন্য  point to / Target এ shebbeb(যেকোন কিছু)। save দিন, কাজ শেষ।
৭. আরেকটা কাজ করতে হবে। এর আগে Cname/Host দিয়েছেন। এবার চারটা A ইনপুট দিতে হবে। এখানে Hostname এ @ দিবেন অথবা খালি রাখবেন। আর Target/point to/Address/Value এর জায়গায় দিবেন 216.239.32.21.


৮. বাকি সবকিছু প্রথমটার মত দ্বিতীয়টাতে 216.239.34.21, তৃতীয়টাতে 216.239.36.21 এবং চতুর্থটাতে 216.239.32.21
এছাড়া বাংলাদেশী সাইট থেকেও ফ্রী সাবডোমেইন পাওয়া যায়
লেখক ডট ক্লাব নামে একটা বাংলা সাইটে ফ্রিতে সাবডোমেইন দিচ্ছে। আপনি চাইলে সেখান থেকেও ফ্রী সাবডোমেইন নিয়ে আপনার ব্লগস্পট সাইটে যোগ করতে পারেন। A ইনিপুট ঠিকঠাকমত না দিলে আপনার কাস্টম ডোমেইন ভিজিট করার সময় সমস্যা হতে পারে। একটি ডোমেইন যোগ হতে ২৪ ঘন্টাও সময় লাগতে পারে। সেটিং এ সবকিছু ঠিকঠাকমত করার পরেও ২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করবেন। তবে, সাধারণত ১ ঘন্টার মধ্যে ডোমেইন যোগ হয়ে যায়। গুগলের পলিসি অনুযায়ী আপনার ডোমেইনের নাম যাই হোক না কেন, সেজন্য আপনার সাইটের এস ই ও এর ক্ষেত্রে কোন প্রভাব পড়বে না। তারপরও কাস্টোম ডোমেইন থাকলে ব্লগকে আরো বেশী Authentic লাগে, এই আর কি।

Thursday, November 1, 2018

 সংলাপের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী যা বললেন !
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার টানা ৯ বছর ১০ মাস ধরে ক্ষমতায়। দিন বদলের যে সূচনা তাঁরা করেছেন, সেই দিন বদল হচ্ছে। একে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।



আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গণভবনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপের সূচনা বক্তব্যে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। বিএনপির পক্ষে আছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির ৬ নেতা।
সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্ষে ঢুকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর সংলাপের শুরুতেই সূচনা বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সূচনা বক্তব্যে বলেন, আজকে আপনারা এসেছেন গণভবন ও জনগণের ভবনে, গণভবনে আপনাদের স্বাগত জানাই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি এবং দীর্ঘ সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে গণতন্ত্র অব্যাহত রেখেছি। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে আজকের এই আলোচনা বিরাট অবদান রাখবে বলে মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই দেশটা আমাদের সকলের, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং দেশের সার্বিক উন্নয়ন এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমি বিচারের ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দেব। দীর্ঘ নয় বছর ১০ মাস হতে চলল আমরা সরকারে আছি। এই সময়ের মধ্যে দেশে কত উন্নয়ন করতে পেরেছি, সেটা নিশ্চয়ই আপনারা বিবেচনা করে দেখবেন। এতটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভালো আছে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে। দিনবদলের যে সূচনা করেছিলাম, সেই দিন বদল হচ্ছে এটাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন করে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, আমাদের মহান নেতা জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা এ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজকে সেই স্বাধীনতার সুফল যেন প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারে, সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোটের ২৩ নেতার সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ২১ নেতা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলমান বিরোধের কারণে এই সংলাপের দিকেই আজ তাকিয়ে রয়েছে দেশের মানুষ। সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থাহীনতা তা সংলাপের মাধ্যমে নিরসন হবে।
ঐক্যফ্রন্ট প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংলাপে বসার আগ্রহের কথা জানিয়ে চিঠি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণে ঐক্যফ্রন্ট গণভবনে সংলাপে গেলেও নৈশভোজে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছে।
গণফোরাম, বিএনপি, জাসদ (জেএসডি) ও নাগরিক ঐক্য নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। গঠনের পরই ৭ দফা দাবি মানতে আন্দোলনে নামে তারা। তবে সংলাপের কারণে সেই আন্দোলনে কিছুটা ভাটা পড়েছে। ইতিমধ্যে ঐক্যফ্রন্ট সিলেট ও চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছে। কাল তাদের ঢাকায় সমাবেশ করার কথা আছে। এ ছাড়া ৬ নভেম্বর রাজশাহীতে সমাবেশ করার কথা রয়েছে।



ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন ৭ দফার ভিত্তিতে সংলাপ হবে। ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি হলো:
১. অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল, আলোচনা করে নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দীর মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার। 
২. নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন ও নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার নিশ্চয়তা দেওয়া। 
৩. বাক্, ব্যক্তি, সংবাদপত্র, টেলিভিশন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও সব রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। 
৪. কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন, সামাজিক গণমাধ্যমে মতপ্রকাশের অভিযোগে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা। 
৫. নির্বাচনের ১০ দিন আগে থেকে নির্বাচনের পর সরকার গঠন পর্যন্ত বিচারিক ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ও নিয়ন্ত্রণের পূর্ণ ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া। 
৬. নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা নিশ্চিত এবং সম্পূর্ণ নির্বাচনপ্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে তাঁদের ওপর কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ না করা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ না করা। 
৭. তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত চলমান সব রাজনৈতিক মামলা স্থগিত রাখা এবং নতুন কোনো মামলা না দেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া।
সংলাপে যাঁরা থাকছেন:
ঐক্যফ্রন্ট গণভবনে যাওয়ার জন্য ১৬ জন নেতার নাম জানান। পরে আজ এই জোট নতুন করে পাঁচ সদস্যের নামের তালিকা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠায়। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসীন মন্টু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংলাপের জন্য সর্বমোট ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নতুন অন্তর্ভুক্ত হওয়া সদস্যরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের সময় নির্ধারিত রয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিনিধি দলের নতুন এই পাঁচ সদস্যের তালিকার বিষয়টি মোস্তাফা মোহসীন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপকে জানিয়েছেন।
এর আগে সংলাপে অংশ নিতে গত মঙ্গলবার ১৬ জনের প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণা করেছিল জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ওই ১৬ জন হলেন, গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মহসীন মন্টু, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সহসভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সংলাপে ১৪ দলীয় জোট থেকে ২৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল যোগ দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্যরা হলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, আবদুল মতিন খসরু, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিকল্পধারা ও জাতীয় পার্টির নেতারা ২ ও ৫ নভেম্বর গণভবনে সংলাপে বসবেন। সব দলের সঙ্গে সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাম দলগুলোকে সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও বাম দলগুলো তাদের সিদ্ধান্ত পরে জানাবে বলে জানায়।